আমরা আগের (তৃতীয়) অধ্যায়ে যা যা করেছিলাম
- সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট পেইজ পরিচিতি (বিস্তারিত)
- সোনালী ত্রিভুজ (Golden Triangle)সম্পর্কে এবং রেংকিং এ এর প্রতিক্রিয়া জানবো।
- বাছাইকৃত ফলাফলের (Blanded Search) সাথে পরিচিত হবো।
- সোনালী ত্রিভুজে বাছাইকৃত ফলাফলের কাযর্ক্রম বের করবো।
- বাছাইকৃত ফলাফলের প্রতিক্রিয়া জানবো।।
আপনার সাইট সঠিক ফলাফলে নিয়ে আসতে হবে
* আপনার সত্যিকারের চাহিদা অনুযায়ী ট্রাফিক এর সন্ধান।
* স্প্যাম পরিহার।
* বিহেবিওরাল সার্চ যেভাবে রেংকিং এ প্রভাব ফেলে।
* ইনটেন্ট-ড্রাইভেন সার্চ এর পরিচিতি।
* আপনার সুবিধায় ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন।
* লোকাল সার্চ রেজাল্ট এ অবস্থান গ্রহন।
ইন্টারনেট যদি একটি মার্কেট হতো, তাহলে গুগোল হতো তার সবচেয়ে বড় দোকান। তুলনামূলক ভাবে, ছোট দোকান হতো ইয়াহু, আস্ক, মাইক্রোসফট লাইভ ইত্যাদি। কিন্তু, একটি মার্কেট এর কাজ শুধু একটি দোকানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। অনেক গ্রাহকেরই কোন না কোন পরছন্দের দোকান থাকে। তারা বড়-ছোট নির্বিশেষে সেই পছন্দের দোকান থেকে কেনাকাটা করে। এই অধ্যায়ে আমরা সারচিং এর বিশেষ দোকান এর সাথে পরিচিত হবো। দেখবো, কিভাবে আপনার পণ্য (আপনার ওয়েবসাইট) ওই দোকানে অবস্থান দখল করে।
এখানে আপনি বুঝতে পারবেন যে, আপনার ট্রাফিক এর দৃষ্টিকোণ এ সামান্য পরিবর্তন এনে কিভাবে আপনার পণ্য আপনার কাঙ্ক্ষিত গ্রাহক এর সামনে নিয়ে যাবেন। বিহেবিওরাল এবং ইনটেন্ট-ড্রাইভেন সার্চ রেজাল্ট এর মাধ্যমে আপনার সাইটের প্রতি গ্রাহকের চিন্তা-ভাবনার একটি পরিবর্তন আনতে পারবেন। আপনি আরও জানতে পারবেন যে, কিভাবে লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থানে আসতে হয়, এবং কিভাবে প্রধান সার্চ ইঞ্জিনের জন্য একটি পেইড ক্যাম্পেইন শুরু করতে হয়।
* আপনার চাহিদা অনুযায়ী ট্রাফিক, রেঙ্কিং থেকেও গুরুত্বপূর্ণ
আপনার সাইটকে হাই রেংকিং এ নিয়ে আসার উদ্দেশ্য কি? নিঃসন্দেহে অনেক বেশী ভিজিটর তথা আপনার পণ্য / সেবা এর গ্রাহক পাওয়া। তাই নয় কি? তাহলে আপনার সত্যিকারের লক্ষ্যটি মাথায় রেখে এস ই ও এর কাজ এগিয়ে নিয়ে যান। সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ রেংকিং, আপনার সাইটে অসংখ্য ভিজিটর ভিজিটর পাওয়ার একটি উপায় মাত্র। এই অধ্যায়ে আপনি আপনার সাইটের জন্য রেংকিং থেকেও ট্রাফিককে গুরুত্ব দেয়ার কারনগুলো বুঝতে পারবেন। প্রযুক্তিগত সুবিধা (বিহেবিওরাল সার্চ ইঞ্জিন) আপনার সাইটের উচ্চ রেংকিং এর গুরুত্ব কমিয়ে এনেছে।
* স্প্যাম পরিহার
সার্চ ইঞ্জিন জগতের প্রতারণাকে স্প্যাম বলে। স্প্যাম হচ্ছে এক ধরনের কৌশল যার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও নিম্নমানের কন্টেন্টকে গুরুত্বপূর্ণ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। আমরা আগে এস ই ও সম্পর্কে অনেক তথ্য জেনেছি। এখানে আমরা এস ই ও এর একটু অন্য ধরনের প্রকারভেদ সম্পর্কে জানবো। সততা অনুযায়ী এস ই ও ২ প্রকার। যথা, সাদা টুপি এস ই ও (White Hat SEO) এবং কালো টুপি এস ই ও (Black Hat SEO)। সাদা টুপি বা হোয়াইট হ্যাট হচ্ছে গুগোল বা অন্য সকল সার্চ ইঞ্জিন এর নীতিমালা মেনে যে এস ই ও করা হয়। এবং কালো টুপি বা ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও হচ্ছে, কিছু নীতিমালা ভঙ্গ করে কৌশলে সার্চ ইঞ্জিনের চোখ ফাকি দিয়ে উচ্চ রেংকিং এ চলে আসার চেষ্টা করা। এটি হোয়াইট হ্যাট এস ই ও এর তুলনায় সহজ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে উল্লেখ্য যে, চুরি বিদ্যা বড় বিদ্যা, যদি না পড়ে ধরা। গুগোল যদি একবার ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও ট্র্যাক করতে পারে, তাহলে ওই সাইটকে ইনডেক্স থেকে সরিয়ে ব্ল্যাকলিস্ট করে দেয়। যে সাইট একবার গুগোল এর ব্যাকলিস্ট এর পড়ে যায়, সেটি আর এস ই ও করা সম্ভব না। তাই, আমাদের এই ব্যাপার এ সাবধান হওয়া উচিত। স্প্যাম ও ব্ল্যাক হ্যাট এস ই ও এর একটি কৌশল। তাই, আমাদের একটি সযত্নে এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
প্রাথমিক স্প্যাম এর উদাহরণঃ ধরি, সাইট "PDF Tutorial Zone" খুব ভাল মানের একটি সাইট। উন্নতমানের কন্টেন্ট এবং "PDF Tutorial" সার্চ কুয়েরি এর সাথে অধিক সম্পর্কযুক্ত। সাইট "XYZ" একটি নিম্নমানের সাইট। এটিতে ভাল মানের কন্টেন্ট নেই এবং "PDF Tutorial" সার্চ কুয়েরি এর সাথে খুব একটা সম্পর্কযুক্ত নয়। কিন্তু, "XYZ" কিছু স্প্যাম কৌশল ব্যাবহার করেছে এবং হটাৎ করেই এটি "PDF Tutorial Zone" সাইটকে পেছনে ফেলে সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ স্থান দখল করে ফেলেছে। ফলাফল কি দাঁড়াবে? এটি গ্রাহকে সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না। গ্রাহক সার্চ করে এই সাইটে প্রবেশ করবে ঠিকই। কিন্তু, তার আশানুরূপ কন্টেন্ট না পেয়ে বিরক্ত হয়ে বের হয়ে যাবে। এটি সার্চ ইঞ্জিনের গালে চড় মারার মত ব্যাপার, যে সার্চ ইঞ্জিন কি না ইউজার এর কাঙ্ক্ষিত ফলাফলের নিশ্চয়তা প্রদান করে থাকে।
তাহলে, সার্চ ইঞ্জিন এই সমস্যা থেকে বাচার জন্য তার স্প্যাম নীতিমালা কঠোর করবে, এটাই স্বাভাবিক। এই পদ্ধতিটি হচ্ছে সঠিক সেবা না দিয়ে কিওয়ার্ড, প্রেজেন্টেশন ও গুনগত অবস্থান ভাল করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন তথা সার্চ ইঞ্জিন ইউজারকে ধোঁকা দেয়ার পদ্ধতি।
[ এই বইয়ের (প্রথম খণ্ড- সার্চ ইঞ্জিনের কাযর্প্রণালী) ষষ্ঠ অধ্যায়ে আমরা এড়িয়ে চলার মত স্প্যামিং এর বেশ কিছু পদ্ধতি জানবো ]
স্প্যামিং বিষয়ে একটি তথ্যঃ স্প্যামিং মুলত অনুভুতির উপর ভিত্তি করে করা হয়। আপনি চান না, এরকম একটি ই-মেইল যদি আপনি পান, তাহলে সহজেই আপনি ওই মেইলটিকে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করবেন। হয়তোবা, যে কোম্পানি মেইলটি পাঠিয়েছে, আপনি ব্যাক্তিগতভাবে সেই কোম্পানিকে খুব পছন্দ করেন। ধরুন, আপনি ভ্রমনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন, এই সময় আপনি ভ্রমন বিষয়ক একটি মেইল পেলেন, আপনি এটিকে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত না করে বরং আগ্রহের সাথে মেইলটি খুলবেন, যদিও আপনি এর প্রেরককে চেনেন না। অর্থাৎ, যে ই-মেইলটি আপনার আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম, সেটি কখনোই স্প্যাম না। সার্চ ইঞ্জিনও একই কাজটিই করে থাকে। ইউজার এর যে বিষয়ে আগ্রহ, সেটিকে স্প্যাম হিসেবে চিহ্নিত করে না। তাই এটি গ্রাহক সন্তুষ্টি পেয়ে থাকে।
* রেংকিং এ বিহেবিওরাল সার্চ ইঞ্জিন এর প্রভাব
সার্চ ইঞ্জিন ইউজার এর পূর্ববর্তী সার্চ কুয়েরি এর উপর ভিত্তি করে বর্তমান সার্চ রেজাল্ট প্রদর্শনে যে কৌশল অবলম্বন করে, তাকেই বিহেবিওরিয়াল সার্চ বলা হয়ে থাকে। আপনি আগে যেসকল বিষয়ে আগে সার্চ করেছেন, যে পেইজগুলোতে ক্লিক করেছেন এবং পড়েছেন, তার একটি সম্পূর্ণ ইরিহাস এটি সংরক্ষন করে। সেই ইতিহাস এনালাইসিস করে এটি আপনার চাল-চলন, অভ্যাস, পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি বোঝার চেষ্টা করে। আপনার পরবর্তী সার্চ এ সে আপনার পছন্দ অনুযায়ী ফলাফল প্রদর্শন করে। ধরুন, আপনি আগে অনেকবার কফি নিয়ে (কফি মেট, ক্যাফেইন, কফি বিন ইত্যাদি) সার্চ করেছেন। এই ইতিহাস থেকে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারল যে, আপনি কফি পছন্দ করেন। পরবর্তীতে আপনি চকলেট এর জন্য সার্চ করলে, আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন মিল্ক ফ্লেভার এর চকলেট এর আগে কফি ফ্লেবার এর চকলেট দেখাবে। যেখানে আরেক জনকে হয়তো একই সার্চ কুয়েরিতে (তার আগের সার্চ ইতিহাস অনুযায়ী) মেঙ্গো ফ্লেবার এর চকলেট দেখাবে। এটি সাধারণ সার্চ রেজাল্টকে সম্পূর্ণ প্রতিস্থাপন করে ফেলে না। কিন্তু, সাধারণ সার্চ রেজাল্ট এর পাশাপাশি অতিরিক্ত রেজাল্ট দেখায়, যেটি আপনার জন্য প্রয়োজনীয় মনে হয়।
সার্চ ইঞ্জিন যে বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে ইউজার এর আচরন বোঝেঃ
- আগের কয়েকটি সার্চ কুয়েরি
- অবস্থান
- আগের সাইট ব্রাউজিং ইতিহাস
- বয়স, লিঙ্গ
- জাতি ইত্যাদি
প্রধান সার্চ ইঞ্জিনগুলো ফলাফলের জন্য শুধুমাত্র কিওয়ার্ড এর উপরই নির্ভর করে না। বারবার বলি যে, সার্চ ইঞ্জিন চেষ্টা করে সরচেয়ে বেশী সম্পর্কযুক্ত ফলাফল প্রদর্শন। ফলাফলসরূপ, বর্তমানে তারা ইউজার এর কয়েকটি লেভেল বিভক্ত করছে। শুধুমাত্র একগুচ্ছ এলগরিদম এর উপর ভিত্তি না করে তারা বিহেবিওরাল সার্চ ইঞ্জিনের সুবিধাসমুহ সংযুক্ত করছে।
পেইড রেজাল্টগুলোতে (যে রেজাল্টগুলো নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড এর উপর প্রদর্শনের জন্য সাইটের মালিক সার্চ ইঞ্জিনকে অর্থ প্রদান করে) অবশ্যই বিহেবিওরাল টার্গেটিং সক্রিয় করা থাকে। এবং এই জন্য বিজ্ঞাপনদাতাকে কিছু অতিরিক্ত অর্থায়ন করতে হয়। আমরা একটু আগে কফির উদাহরন দিয়েছিলাম। যে ইউজার কফি পছন্দ করে (আগের সার্চ কুয়েরি অনুযায়ী ধারনাকৃত), সে যখন কোন কিছু সার্চ করলে কফি সম্পর্কিত রেজাল্ট আসে , এবং ইউজার তাতে ক্লিক করে, তখন ওই সাইটের মালিক (বিজ্ঞাপনদাতা) কে সাধারণ পেইড রেজাল্ট এর মূল্য থেকে বেশী অর্থ দিতে হয়। [ দশম খণ্ডের দ্বিতীয় অধ্যায়ে পেইড রেজাল্ট সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য রয়েছে ]
এই পদ্ধতিতে আপনার অরগানিক রেজাল্ট (নন পেইড) এ ও উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। গুগোল মুলত বিহেবিওরাল সার্চ এর জন্য জিমেইল ব্যাবহার করে থাকে। আপনি যখন একটি ব্রাউজার এ জিমেইল এ লগ ইন করে আছেন, সেই ব্রাউজার এ সার্চ করলে , গুগোল চিনতে পারে যে আপনিই সার্চটি করেছেন। আর আপনি লগ ইন করা না থাকলে গুগোল এনালাইসিস এর জন্য ব্রাউজার এর হিস্টোরি ব্যাবহার করে।
আপনার অবস্থান অনুযায়ী রেজাল্ট প্রদানঃ
কিছু প্রযুক্তিগত কৌশল এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে যে, আপনি কোথায় আছেন। আপনার ইন্টারনেট সংযোগ এর IP (Internet Protocol) Address প্রকাশ করে যে, আপনি কোন দেশে, এমনকি কোন শহরে কোন অবস্থানে আছেন। এই কৌশলটিকে বলা হয় GEO Targeting । এই পদ্ধতিটি তৈরি হয়েছে ইউজার এর কাঙ্ক্ষিত পণ্য বা সেবা তার সবচেয়ে কাছাকাছি খুজে দেয়ার জন্য। ধরুন, আপনি কাচ্চি বিরিয়ানি খাবেন। গুগোল এ সার্চ করলেন কাচ্চি বিরিয়ানি লিখে। গুগোল আপনাকে ভারতের একটি দোকানের ওয়েবসাইটে নিয়ে গেল। এখন আপনি কি কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য ভারতে যাবেন? ধরে নিই যে, আপনি নোয়াখালী থাকেন। নোয়াখালীতে "কাচ্চি বিরিয়ানি" কিওয়ার্ড এর সাথে সম্পর্কিত কোন রেস্টুরেন্ট এর ওয়েবসাইট পাওয়া যায়নি। আপনার কাছাকাছি ফেনীর একটি রেস্টুরেন্ট এর ওয়েবসাইট পাওয়া গেছে এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম এর বেশ কিছু সাইট পাওয়া গেছে। গুগোল আপনাকে ফেনীর সাইটটিই আগে প্রদর্শন করবে। আমরা আগেই লোকাল সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে পড়েছি। এটি তারই বহিঃপ্রকাশ।
ওয়েব ইতিহাস অনুযায়ী ফলাফল প্রদানঃ
আপনার সার্চ হিস্টোরি থেকে গুগোল বোঝার চেষ্টা করে যে, আপনি ঠিক কি খুজছেন। আপনার আগের সার্চ ইতিহাস, কোন সাইটগুলোতে আগে আপনি সার্চ করে প্রবেশ করেছেন, কোন সাইটে বেশিক্ষন ছিলেন, আপনার ব্রাউজার এ কি ধরনের সাইট বেশী বুকমার্ক করা আছে ইত্যাদি দেখে আপনার ইনটেনশন বুঝতে পারে। এটিই ইনটেন্ট-ড্রাইভেন সার্চ সিস্টেম।
ইউজার এর বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী ফলাফল প্রদানঃ
সার্চ ইঞ্জিন আপনার সম্পর্কে যে সকল তথ্য সংগ্রহ করে, সেগুলো হোল আপনার বয়স, ঠিকানা, লিঙ্গ, আপনার আগ্রহ ইত্যাদি। আপনি এই তথ্যগুলো একটি অ্যাকাউন্ট সাইন আপ করে, বা লগ ইন করে ইঞ্জিনকে দিতে পারেন। উদাহরণসরূপ আপনার ইয়াহুর বিভিন্ন সার্ভিস (ই-মেইল, আনসার ইত্যাদি) ব্যাবহার করতে হলে আপনাকে একটি ইয়াহু অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হবে। সেই অ্যাকাউন্ট থেকেই ইয়াহু আপনার তথ্য সংগ্রহ করবে। আপনার মাসিক/বার্ষিক আয় কত, সেটা সার্চ ইঞ্জিন ধারনা করে নেবে আপনার অবস্থান, বয়স, পেশা ইত্যাদি হিসেব করে। এই ক্ষেত্রে আরও কিছু বিষয় ব্যাবহার করা হয়। যেমন, গুগোল আর্থ, ইয়াহু ম্যাপস ইত্যাদি বিশ্ব মানচিত্রে একজন ইউজার যখন প্রথম প্রবেশ করে ৯৯% ইউজারই নিজের বাড়ির লোকেশন সার্চ করে। যদিও এটি মনস্তাত্ত্বিক তথ্য, তথাপি একজন ইউজার এর সঠিক ঠিকানা পাওয়ার জন্য খুব কাজের একটি বিষয়।
বৈশিষ্ট্যগত সার্চ রেজাল্ট থেকে বের হয়ে আসাঃ
উপরে আমরা যতগুলো বিষয় অনুযায়ী ফলাফল প্রদর্শনের পদ্ধতি দেখলাম, এগুলো সবগুলোই কোন একজন ব্যাক্তির নিজস্ব পছন্দ-অপছন্দ অনুযায়ী ফলাফল প্রদান এর চেষ্টা। যদি, এই পদ্ধতি ব্যাবহার করে সার্চ ইঞ্জিন আপনার চাহিদা পুরন করতে পারে, তাহলে খারাপ হয় না।
কিন্তু, হয়তোবা আপনি এটি নাও চাইতে পারেন। বিশেষত, আপনি যখন এস ই ও নিয়ে গবেষণা করছেন, আপনি অবশ্যই চাইবেন না যে, ফলাফল আপনার ব্যাক্তিগত কারনে পরিবর্তিত হয়ে যাক। আপনি নিশ্চয় ওই ফলাফলই চাইবেন, যেটি অধিকাংশ ইউজার সাধারণভাবে পায়।
এখানে গুগোল সার্চ ইঞ্জিন থেকে বিহেবিওরাল সিস্টেম বন্ধ করার পদ্ধতি দেখানো হলঃ
কোন একটি নির্দিষ্ট সার্চ ফলাফল থেকে বিহেবিওরাল সিস্টেম বন্ধ করার জন্য, প্রথমে আপনার কুয়েরি অনুযায়ী সার্চ করুন। এবং উপরে এড্রেস বার এ যে লিংক (URL) হয়েছে, সেটির শেষে &pws=0 সংযুক্ত করে দিন। তাহলে গুগোল আপনাকে আর আপনার জন্য আলাদা করে ফলাফল না দেখিয়ে সাধারণ ফলাফল দেখাবে। এছাড়াও আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্টটি (ইয়াহু এর ক্ষেত্রে ইয়াহু অ্যাকাউন্ট) লগ আউট করলে এবং ব্রাউজার এর ক্যাশ ফাইল, কুকিজ ইত্যাদি ক্লিন করলে বিহেবরিয়াল সার্চ অনেকাংশেই কাজ করবে না।
ভিডিওঃ
বর্তমানে যত উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ চালু হচ্ছে, দিনে দিনে ভিডিওর জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আপনার পেইজকে উচ্চ অবস্থানে নিয়ে যেতে ভিডিও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে। আপনার পণ্য বা সেবা কিভাবে কাজ করে, তার কিছু ডেমো ভিডিও ইউটিউবে আপলোড করে যদি আপনার সাইটে সংযুক্ত করতে পারেন। তাহলে গ্রাহকের কাছে আপনার সাইটের গ্রহণযোগ্যটা যেমন বৃদ্ধি পাবে, তেমনি ইউটিউবে ভিডিওটি যত বেশী বার দেখা হবে, সার্চ ইঞ্জিনের কাছেও আপনার সাইট তত বেশী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে।
* ভিডিও এর Meta Data এর মধ্যে কিওয়ার্ড ব্যাবহার করতে পারেন।
* ভিডিও এর নামের মধ্যে কিওয়ার্ড ব্যাবহার করতে পারেন।
* ইউটিউব একটি গুগোল সার্ভিস। তাই ইউটিউবে ভিডিও পোস্ট করলে সহজে ইনডেক্স হবে।
* ভিডিওতে আপনার সাইটের লিংক ব্যাবহার করবেন।
* যে পেইজে ভিডিও সংযুক্ত করবেন, সে পেইজে কিছু তথ্য রাখতে পারেন।
ইমেজঃ
সাইটে অনেক চিত্র সংযুক্ত করুন। তাহলে ইমেজ ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন আপনাকে রেংকিং পেতে সাহায্য করবে। শুধু ইমেজ সংযুক্ত করলেই হবে না। img ট্যাগ এ alt এট্রিবিউট ব্যাবহার করতে হবে। [ এটি আমরা প্রথম অধ্যায়ে জেনেছিলাম ]
নিউজঃ
নিউজ ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করার কৌশলটি একটু আলাদা। আপনার হয়তোবা একটি সংবাদ ওয়েবসাইট আছে। অথবা, আপনি আপনার কোম্পানির সাইটের কোন একটি পেইজে নিয়মিত আপডেট সংবাদ প্রকাশ করেন। কিন্তু এই তথ্যগুলো গুগোল এর নিউজ ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে স্থান পাবে না। আপনি জানেন কেন? গুগোল তখনই একটি সাইটকে নিউজ সাইট হিসেবে গ্রহন করবে, যখন একটি সাইটে প্রতি সপ্তাহে একাধিক তথ্য সংযুক্ত হবে একাধিক লেখক (Author) এর লেখা। আপনার সংবাদ সাইট / পেইজ নিউজ ভার্টিকেল এ না যাওয়ার কারন হচ্ছে এটিতে শুধুমাত্র আপনিই পোস্ট করেন। নিউজ এ স্থান পেতে হলে অবশ্যই একাধিক ইউজার পোস্ট করতে হবে। আপনি সাইট তৈরি করার জন্য Blogspot, Wordporess, Joomla ইত্যাদি CMS (Content Management System) ব্যাবহার করলে একাধিক ইউজারকে অথোরিটি দেয়া সহজ হবে। আপনি টেকটিউনস বা টিউনারপেইজ এর দিকে তাকান। প্রতি সপ্তাহে এখানে অনেকগুলো নতুন পোস্ট করা হয়। এবং অনেকজন লেখক এই পোস্টগুলো করে।
তাই, আপনার সাইটের খবরগুলোকে নিউজ ভার্টিকেল এ প্রকাশ করার সহজ উপায় হচ্ছে, এগুলো কোন আর্টিকেল সাবমিশন সাইটে পোস্ট করা। সেজন্য আপনার সাইট এর বিষয়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত পাবলিক ব্লগ, ফোরাম ইত্যাদি খুজে বের করবেন। সেখানে পোস্ট করবেন। সামান্য কিছু লিখেই সাইটের লিংক দিয়ে দেবেন না, তাহলে আপনি স্প্যামার হিসেবে চিহ্নিত হবেন। এবং খুব বেশী সম্ভাবনা যে, আপনার পোস্ট ডিলিট হয়ে যাবে। [ আমি নিজেও না জানার কারনে আগে বহুবার এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলাম ] তাই, অবশ্যই সম্পূর্ণ পোস্ট করুন এবং শেষে আপনার সাইটের লিংক দিন। আপনি চাইলে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে প্রেস রিলিজ সাইটসমুহে (PRNewswire, PRWebDirect, MarketWire ইত্যাদি) আপনার কোম্পানির খবর প্রকাশ করতে পারেন। এতে আপনার কোম্পানির (ওয়েবসাইট এর) জনপ্রিয়তা এবং ট্রাফিক ২ টিই বাড়বে।
আপনার সাইট এর কোন নিউজ কখন প্রকাশিত হচ্ছে, সেটি আপনি গুগোলের একটি ফ্রী টুল এর মাধ্যমে খবর রাখতে পারবেন। আপনার জিমেইল লগ ইন থাকা অবস্থায় http://www.google.com/alerts এ যান।
এখানে অপশনগুলো আপনার প্রয়োজনমত সেট করে নিন। তার পর Create Alert এ ক্লিক করলে আপনার জন্য এলার্ট সার্ভিস সক্রিয় হবে। এবং গুগোল নির্দিষ্ট সময় (How Often) পরপর আপনার কি কি নিউজ প্রকাশিত হোল, সেটি আপনাকে ইমেইলের মাধ্যমে জানাবে।
শপিং সার্চঃ
শপিং সার্চ ভার্টিকেল মুলত তার তথ্যসমূহ RSS feed. এর মাধ্যমে পেয়ে থাকে। RSS হচ্ছে Really Simple Syndication এর সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি হচ্ছে নিত্যনতুন কন্টেন্টগুলো প্রচার এর একটি বিশেষ প্রক্রিয়া। মুলত যে ইউজার RSS feed পায়, সে একটি ষ্ট্যাণ্ডার্ড ফরমেটে আপডেট কন্টেন্ট ইমেইল হিসেবে গ্রহন করে। একটি RSS ডকুমেন্ট (যেটিকে feed বলা হয়) কে স্পাইডার খুব সহজে ক্রাউল করতে পারে। যেহেতু এটি আপডেট কন্টেন্ট, তাই এটিকে নিউজ ভার্টিকেল ও সহজে গ্রহন করে। আমরা এই অধ্যায়ে RSS feed এর আরেকটু গভীরে যাব। কারন, আপনার জানা প্রয়োজন, শপিং ভার্টিকেল কিভাবে RSS feed এর মাধ্যমে নতুন পন্যের তথ্য গ্রহন করে। গুগোলের শপিং ভার্টিকেল (Google Product Search) স্পাইডারকে ব্যাবহার করে RSS feed গুলোকে পরিক্ষা করার জন্য। এই শপিং ভার্টিকেলটি বিক্রেতাদের জন্য সম্পূর্ণ ফ্রী। ইয়াহু শপিং ভার্টিকেল ছোট ব্যাবসায়িদের জন্য কোন ওয়েবসাইট ছাড়াই ইয়াহু এর নিজস্ব টেম্পলেট এ একটি ই-কমার্স সিস্টেম প্রদান করে। এটি তার বিক্রয়ের উপর একটি নির্দিষ্ট ফী গ্রহন করে। একজন ইয়াহু ইউজার https://smallbusiness.yahoo.com/ecommerce এ অ্যাকাউন্ট করে পদ্ধতিটি ব্যাবহার করতে পারে। এটিকে ইয়াহু মার্চেন্ট সেন্টার বলে।
RSS এবং ব্লগঃ
যখন থেকে ব্লগ জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেছে, গুগোল ব্লগ এর জন্য আলাদা ভার্টিকেল তৈরি করেছে। তখন থেকে RSS ও জনপ্রিয়তা পাওয়া শুরু করেছে। একটি ব্লগ সাইটকে ব্লগ ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ রেংকিং এ যেতে হলে তার অবশ্যই RSS থাকতে হবে। যেসব ব্লগার Blogspot অথবা Wordpress ব্যাবহার করে, তাদের জন্য RSS তৈরি করা আছে। সার্চ ইঞ্জিনসমূহের মধ্যে RSS এর কারনে রেংকিং এ পার্থক্য হয়। ব্লগ সাধারানত ব্লগার এর মেধার উপর রেংকিং হয়ে থাকে। ব্লগের লেখা, কত অল্প সময়ের মধ্যে পোস্ট করা হয়, ইত্যাদি। ব্লগ সার্চ এর জন্য গুগোল এর নিজস্ব ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এটি হচ্ছে http://www.google.com/blogsearch
* লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে ফলাফল প্রদর্শনঃ
আমরা জানি যে, লোকাল সার্চ ইঞ্জিন আপনার সম্ভাবনাময় গ্রাহক খুজে পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। সহজভাবে বলতে গেলে, এটি আপনার প্রচারের এলাকাকে ছোট করে আনে। অল্প সময়ে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পেতে পারেন লোকাল সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে। এই অধ্যায়ে আমরা গুগোল এর লোকাল সার্চ ইঞ্জিনের সাইটকে নিয়ে আসার ধাপে ধাপে নির্দেশনা পাবো।
গুগোল এর লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে অবস্থান গ্রহনঃ
মূল সার্চ ইঞ্জিনের মত গুগোল লোকালও চরম জনপ্রিয় একটি ভার্টিকেল সার্চ ইঞ্জিন। গুগোল লোকাল এ সাইট সাবমিট করলে আপনি যে সুবিধাগুলো পাবেন, সেগুলো হোল, ব্লেন্ডেড সার্চ রেজাল্টে আপনি ভাল অবস্থানে যাবেন। আপনার কাছাকাছি এলাকার (গুগোল ম্যাপ অনুযায়ী) গ্রাহক বেশী পাবেন। এখানে আপনার সাইটকে লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে প্রবেশ করানোর ধাপে ধাপে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
১। প্রথমে গুগোল এর লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে (https://www.google.com/maps) সার্চ করে দেখুন যে আপনার সাইট অলরেডি সেখানে আছে কি না। গুগোল যদি নিজ থেকে বুঝতে পেরে আপনাকে লোকাল ইঞ্জিনে ইনডেক্স করে নেয়, তাহলে আপনার কষ্ট কমে গেল।
৩। আপনার জিমেইল অ্যাকাউন্ট লগ ইন করুন।
৪। নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে ফ্রী আপনার সাইট সংযুক্ত করুন।
এই সার্চ বক্সে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম লিখে সার্চ করুন। যদি এই নামে কোন প্রতিষ্ঠান থাকে, তাহলে নিচের চিত্রের মত আসবে। সেটি আপনার না হলে No,These are not my business এ ক্লিক করবেন।
আর যদি, এই নামে আর কোন প্রতিষ্ঠান না থাকে, তাহলে এরকম আসবে,
সেক্ষেত্রে I've correctly entered the business and address এ ক্লিক করবেন। তারপর এরকম একটি ফর্ম আসবে।
এই ফর্মটি সঠিক ভাবে (সম্পূর্ণ) পুরন করতে হবে। তারপর Submit এ ক্লিক করতে হবে। বার নিচের চিত্রের মত একটি এরর রিপোর্ট (Error Report) দেখাবে।
এখানে Having trouble? Help us locate your business এ ক্লিক করুন। এখানে গুগোল এর বিশ্ব মানচিত্র থেকে আপনার অবস্থান চিহ্নিত করে দিতে হবে। আপনি যখনই ঠিকানার ঘরগুলো পুরন করেছিলেন, তখনই গুগোল ম্যাপ তার পয়েন্টারকে আপনার এলাকায় নিয়ে গেছে, এবং আপনার কাজকে অনেকটা সহজ করে দিয়েছে। নাহলে আপনাকে পুরো বিশ্ব খুজে আপনার ঠিকানা বের করতে হতো। এখানে নিচের চিত্রের মত একটি স্কেল আছে। এটির + বাটনে ক্লিক করে আপনার মানচিত্রটি Zoom করে নিন।
অনেকটুকু জুম করার পর এরকম লাল একটি পয়েন্টার পাবেন। এটির উপর ক্লিক করে টেনে এটি আপনার অফিসের কারেক্ট লোকেশনে বসিয়ে দিন।
তারপর OK বাটনে ক্লিক করুন। নিচের চিত্রের মত একটি উইন্ডো আসবে।
এখানে Verify by Postcard এ ক্লিক করুন। নিচের চিত্রের মত একটি পেইজ আসবে। এই বক্সে আপনার নাম লিখুন। এই নামে এবং উপরে দেয়া ঠিকানায় গুগোল থেকে একটি চিঠি (পোস্টকার্ড) ডাকযোগে আসবে। ওই চিঠিতে একটি পিন কোড (৫ সংখ্যাবিশিষ্ট) থাকবে।
এখানে Send Postcard বাটনে ক্লিক করুন। এরকম একটি পেসেজ দেখাবে।
এবার Continue বাটনে ক্লিক করলে আপনার কোম্পানির নাম গুগোল এর লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে দেখাবে । তবে, আপনাকে ৩০ দিনের মধ্যে আপনার প্রাপ্ত চিঠির পিন কোড দিয়ে আপনার ঠিকানা প্রমান করে নিতে হবে। চিঠি পেলে আবার গুগোল ম্যাপস এর পেইজে লগ ইন করলে নিচের চিত্রের মত পেইজ পাবেন। ৩০ দিনের মধ্যে চিঠি না পেলে Request Another Code এ ক্লিক করবেন। তাহলে গুগোল আবার আপনাকে চিঠি পাঠাবে। আর চিঠি পেলে Enter Code এ ক্লিক করবেন।
Enter Code এ ক্লিক করার পর নিচের চিত্রের মত একটি বক্স আসবে। এটিতে আপনার চিঠিতে প্রাপ্ত ৫ ডিজিট Code প্রবেশ করবেন এবং Submit বাটনে ক্লিক করবেন।
এবার আপনার কোম্পানির নাম স্থায়ীভাবে গুগোল এর লোকাল সার্চ ইঞ্জিনে ইনডেক্স হয়ে যাবে। এবং আপনার কোম্পানির নামে একটি গুগোল প্লাস (গুগোল এর সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট) পেইজ তৈরি হবে। সেটিও আপনি আপনার সাইটের প্রচার এর কাজে ব্যাবহার করতে পারবেন। [ আমরা পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এ ফেসবুক, টুইটার, গুগোল প্লাস ইত্যাদির মাধ্যমে প্রচার এর অনেক পদ্ধতি জানবো ]
** তথ্যঃ গুগোল ও অন্যোন্য সাইট প্রতিনিয়ত তাদের ইন্টারফেস এ পরিবর্তন আনছে। মূল ভিত্তি একই। আমি এই বিষয়টি পড়েছিলাম ২০০৭ সালে লেখা একটি ইংরেজি টিউটোরিয়াল এ, সেখানে যে বর্ণনা দেয়া হয়েছে, বাস্তবে কাজ করতে গিয়ে আমি (২১-৪-২০১৪) সম্পূর্ণ আলাদা পেলাম। অনেক চেষ্টা করে অবশেষে কাজটি করতে পেরেছি। আপনিও যদি অনেকদিন পর এই টিউটোরিয়ালটি পড়েন, এবং ইন্টারফেসে কোন পরিবর্তন দেখেন, তাহলে ঘাবড়ে না গিয়ে একটু ঘেঁটে দেখুন। আশা করি পারবেন **
এই লেখাটি PDF আকারে ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন।
0 comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন