আমরা টাকা আয় করার অনেকগুলো পদ্ধতিই শিখলাম। কিন্তু, এই টাকা তো শুধু অ্যাকাউন্ট এ দেখে আনন্দ নিলে হবেনা। আমাদের হাতে এসে পৌছাতে হবে। এই টাকা উত্তোলন প্রক্রিয়ার মধ্যে বেশ কিছু জটিলটা আছে (বিশেষ করে বাংলাদেশীদের জন্য) । আমি বাংলাদেশের সন্তান হিসেবে গর্ববোধ করি। কিন্তু, কিছু অসাধু ফ্রীলেন্সার এর প্রতারনার জন্য আমরা অনেক বছর যাবতই হয়রানির শিকার হচ্ছি। আমার খুবই দুঃখ লাগে তখন, যখন কোন সাইট এ নিবন্ধন করতে গিয়ে দেখি "The site is not available from Bangladesh" । উন্নত দেশগুলোর মানুষ বাংলাদেশীদের খুবই নিচু চোখে দেখে। তাই, আমি আমার ফ্রীলেন্সার ভাইদের বলব, "আসুন!! আমরা সততা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে প্রমান করে দিই যে, আমরাও পারি" ।
এবার আমরা আমাদের মূল বিষয়ে ফিরে আসি। আপনি কোন একটি সাইট এ টাকা আয় করলেন । তারা কি টাকা আপনার বাড়িতে এসে দিয়ে যাবে ? অবশ্যই না ! আপনাকে টাকা তুলতে হবে কোন একটি পেমেন্ট প্রসেসর এর মাধ্যমে।
পেমেন্ট প্রসেসর (Payment Processor) কি ?
পেমেন্ট প্রসেসর হচ্ছে একটি অনুমোদিত কোম্পানি, যারা আপনাকে আর্থিক লেনদেন (অনলাইন) সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনেকগুলো পেমেন্ট প্রসেসর আছে। যেমনঃ পেপাল (Paypal), পাইজা (Payza), স্ক্রিল (Skrill), নিটেলার (Netellar), ইগোপে (EgoPay), ওকেপে (OkPay) ইত্যাদি। পেমেন্ট প্রসেসর এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তাদের সাইট এ নিবন্ধন করলে তারা আপনাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মত একটি অ্যাকাউন্ট দেবে। এই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি লেনদেন করতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট এ টাকা জমা দিতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। চাইলে অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কারো অ্যাকাউন্ট এ (একই পেমেন্ট প্রসেসর হলে) ট্র্যান্সফার ও দিতে পারবেন।
পেমেন্ট প্রসেসর এ ২ ধরনের অ্যাকাউন্ট থাকে।
> যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Verified Account)
> অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account)
এই দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে তুলনামুলক পার্থক্য হচ্ছে, আপনি ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে যখন যাকে খুশি , যে কোন পরিমান টাকা পাঠাতে পারবেন। যে কোন পরিমান তুলতে পারবেন। কিন্তু নন-ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট এ এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। তাছাড়া, সব সাইট নন-ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট এ পেমেন্ট দেয়না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কোম্পানি যে কোন সময় নন-ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষন করে। তাই সবচেয়ে ভাল এবং নিরাপদ হচ্ছে ভেরিফাই করে নেয়া।
ভেরিফাই করতে কি কি লাগবে ?
১। একটি ছবি-সংযুক্ত পরিচয়পত্র (অনুমোদিত)
এটি হতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স হলে সবচেয়ে ভাল হয়। কারন, আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে অধিকাংশ লেখা বাংলায় থাকায় অনেক সাইট এটি গ্রহন করতে চায়না। করলেও অনেক ঝামেলা করে।
২। আপনার একটি সচল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। ডাচ বাংলা ব্যাংক হলে ভাল হয়। অনলাইন সার্ভিস এর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক অনেক দ্রুত সেবা দিয়ে থাকে। আপনার যদি বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি ওই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক ভিসা / মাষ্টারকার্ড ( International VISA / Master Card) তৈরি করে নিতে পারেন। এতে আপনার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে।
৩। একটি স্থায়ী ঠিকানা। যে ঠিকানায় কোন কাগজ-পত্র পাঠালে আপনি তা হাতে পাবেন।
৪। একটি স্থায়ী মোবাইল নাম্বার। (এটি সবারই আছে। তারপরও উল্লেখ করলাম যাদের প্রিয় শখ নাম্বার পরিবর্তন করা, তাদের উদ্দেশ্যে)
এই চারটির মধ্যে কোনটি যদি আপনার না থাকে, তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব তা সমাধান করে নিন। নাহলে শেষমুহূর্তে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
এবার আসুন, আপনাদের কয়েকটি পেমেন্ট প্রসেসর সাইট এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।
পেপাল (PayPal):
পেপাল হচ্ছে... আহ হা ... দিলেন তো মনে করিয়ে। কত চেষ্টা করি এই নামটি ভুলে থাকার জন্য। কিন্তু পারলাম আর কই ? পেপাল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত পেমেন্ট প্রসেসর। এটি দিয়ে খুব সহজে লেনদেন করা যায়। আচ্ছা, আপনি কি ছোটবেলায় একটি প্রবাদ বাক্য পড়েছেন ? "বেল পাকলে কাকের কি?" । এই প্রবাদ বাক্য বোঝায় যে, বেল যতই পাকুক, কাক তাতে উপকৃত হবেনা হবেনা। কারন, কাকের ক্ষমতা নেই বেল খাবার। আমাদের ক্ষেত্রেও ঘটনাটি পুরোপুরি বাস্তব। পেপাল অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়, কিন্তু তাতে আমাদের লাভ কি ? কারন, পেপাল তো বাংলাদেশকে অনুমোদন দেয়নি । সরকার থেকে গত কয়েক বছর যাবতই আশা দেয়া হচ্ছে, পেপাল আসছে, পেপাল আসছে। কিন্তু, সাধের পেপাল এর মুখ দেখার সৌভাগ্য আর বাংলদেশিদের হল কই ? যাই হোক !! যেটি নেই, তা নিয়ে আর হা-হুতাশ করে কি হবে? আশায় থাকি, কোন একদিন আসবে। সেই কবে থেকেইতো আশায় আশায় পাখির বাসা বাধছি...
পাইজা (Payza):
পেপাল এর পরেই পাইজার অবস্থান। আমরা এটিকে পেপাল এর বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করি। এটি পূর্বে এলার্টপে (AlartPay) নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তন করা হয়। পাইজা তে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। Starter / Personal/ Business এই তিনটি অপশন থেকে Personal সিলেক্ট করুন। সাইন আপ করার সময় অবশ্যই সঠিক এবং পূর্ণ ঠিকানা ব্যাবহার করবেন। সাইন আপ করার পর ই-মেইল ভেরিফাই করুন করুন। এবার আপনি পাইজাতে একটি অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account) পেলেন। এটিকে ভেরিফাইড করার জন্য আপনাকে আপনার পরিচয়ের দুটি প্রমান দিতে হবে। একটি হচ্ছে পূর্বে উল্লেখিত (১) ছবি-সংযুক্ত পরিচয়পত্র অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরেকটি হচ্ছে, আপনার ঠিকানা (২) প্রমানের জন্য একটি গ্যাস / বিদ্যুৎ / টেলিফোন বিল এর কপি। এই দুটি কপি স্কেন করে আপনার অ্যাকাউন্ট এ আপলোড করে দিলে (যদি কোন সমস্যা না থাকে) কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবার এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বিভিন্ন সাইট এ ব্যাবহার করতে পারেন। আমাদের এই সাইট এর ফ্রীলেঞ্চিং সাইট গুলোর মধ্যে Neobux , DonkeyMails এবং Gift Hunter Club পাইজা সমর্থন করে। আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তাহলে, পাইজা কোম্পানি আপনার বাড়ির ঠিকানায় একটি কার্ড পাঠাবে। এই কার্ড দিয়ে আপনি যে কোন ATM বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়া পাইজা অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্র্যান্সফার দিতে পারবেন।
স্ক্রিল (Skrill):
এটি পূর্বে মানিবুকারস (Moneybookers) নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তন করা হয়। স্ক্রিল এ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। সাইন আপ করার সময় অবশ্যই এবং অবশ্যই সঠিক এবং পূর্ণ ঠিকানা ব্যাবহার করবেন। সাইন আপ করার পর ই-মেইল ভেরিফাই করুন করুন। এবার আপনি স্ক্রিল এ একটি অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account) পেলেন। এটিকে ভেরিফাইড করার জন্য তারা আপনার বাড়ির ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠাবে। ওই চিঠিতে একটি পিনকোড থাকবে। এই পিন কোড আপনার অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করালে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবার এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বিভিন্ন সাইট এ ব্যাবহার করতে পারেন। আমাদের এই সাইট এর ফ্রীলেঞ্চিং সাইট গুলোর মধ্যে Microworkers স্ক্রিল সমর্থন করে।স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্র্যান্সফার দিতে পারবেন।
পারফেক্ট মানি (Perfect Money):
পারফেক্ট মানি তে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। সাইন আপ করার সময় সঠিক এবং পূর্ণ ঠিকানা ব্যাবহার করবেন (না করলেও সমস্যা নেই, পরবর্তীতে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন) । সাইন আপ করার পর ই-মেইল ভেরিফাই করুন করুন। এবার আপনি একটি অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account) পেলেন। এটিকে ভেরিফাইড করার জন্য আপনাকে আপনার পরিচয়ের দুটি প্রমান দিতে হবে। একটি হচ্ছে পূর্বে উল্লেখিত (১) ছবি-সংযুক্ত পরিচয়পত্র অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরেকটি হচ্ছে, আপনার ঠিকানা (২) প্রমানের জন্য একটি গ্যাস / বিদ্যুৎ / টেলিফোন বিল এর কপি। এই দুটি কপি স্কেন করে আপনার অ্যাকাউন্ট এ আপলোড করে দিলে (যদি কোন সমস্যা না থাকে) কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবার এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বিভিন্ন সাইট এ ব্যাবহার করতে পারেন। পারফেক্ট মানি অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্র্যান্সফার দিতে পারবেন।
বিটকয়েন (BitCoin):
বিটকয়েন হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি। এটি ২০০৯ সালে চালু হয়। তখন এটির বাজারমূল্য খুবই কম ছিল। ১ ডলার দিয়ে শত শত বিতকয়েন পাওয়া যেত। কিন্তু, পরবর্তীতে এর গ্রহণযোগ্যটা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ২০১১, ১ টি বিটকয়েন ১ ডলার।
জুন ২০১১, ১ টি বিটকয়েন ১০ ডলার।
মার্চ ২০১৩, ১ টি বিটকয়েন ৫০ ডলার।
জুলাই ২০১৩, ১ টি বিটকয়েন ১০০ ডলার।
নভেম্বর ২০১৩, ১ টি বিটকয়েন ৫০০ ডলার।
আজকে (১৯-১-২০১৪) একটি বিটকয়েনের মূল্য ৮০৪ ডলার।
বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় সাইট বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন-প্রদান করছে। বিটকয়েনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে নিরাপত্তা। এরা ১০০% ফ্রীতে প্রতিটি স্টেপে এস এম এস সিকিউরিটি দিয়ে থাকে। বিটকয়েনে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আজ এততুকুই। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে আরও লেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
এবার আমরা আমাদের মূল বিষয়ে ফিরে আসি। আপনি কোন একটি সাইট এ টাকা আয় করলেন । তারা কি টাকা আপনার বাড়িতে এসে দিয়ে যাবে ? অবশ্যই না ! আপনাকে টাকা তুলতে হবে কোন একটি পেমেন্ট প্রসেসর এর মাধ্যমে।
পেমেন্ট প্রসেসর (Payment Processor) কি ?
পেমেন্ট প্রসেসর হচ্ছে একটি অনুমোদিত কোম্পানি, যারা আপনাকে আর্থিক লেনদেন (অনলাইন) সংক্রান্ত যাবতীয় সেবা দিয়ে থাকে। বর্তমানে অনেকগুলো পেমেন্ট প্রসেসর আছে। যেমনঃ পেপাল (Paypal), পাইজা (Payza), স্ক্রিল (Skrill), নিটেলার (Netellar), ইগোপে (EgoPay), ওকেপে (OkPay) ইত্যাদি। পেমেন্ট প্রসেসর এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, তাদের সাইট এ নিবন্ধন করলে তারা আপনাকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট এর মত একটি অ্যাকাউন্ট দেবে। এই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে আপনি লেনদেন করতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট এ টাকা জমা দিতে পারবেন। অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলতে পারবেন। চাইলে অ্যাকাউন্ট থেকে অন্য কারো অ্যাকাউন্ট এ (একই পেমেন্ট প্রসেসর হলে) ট্র্যান্সফার ও দিতে পারবেন।
পেমেন্ট প্রসেসর এ ২ ধরনের অ্যাকাউন্ট থাকে।
> যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Verified Account)
> অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account)
এই দুই ধরনের অ্যাকাউন্ট এর মধ্যে তুলনামুলক পার্থক্য হচ্ছে, আপনি ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট থেকে যখন যাকে খুশি , যে কোন পরিমান টাকা পাঠাতে পারবেন। যে কোন পরিমান তুলতে পারবেন। কিন্তু নন-ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট এ এক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। তাছাড়া, সব সাইট নন-ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট এ পেমেন্ট দেয়না। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, কোম্পানি যে কোন সময় নন-ভেরিফাইড অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার ক্ষমতা সংরক্ষন করে। তাই সবচেয়ে ভাল এবং নিরাপদ হচ্ছে ভেরিফাই করে নেয়া।
ভেরিফাই করতে কি কি লাগবে ?
১। একটি ছবি-সংযুক্ত পরিচয়পত্র (অনুমোদিত)
এটি হতে পারে আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স হলে সবচেয়ে ভাল হয়। কারন, আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে অধিকাংশ লেখা বাংলায় থাকায় অনেক সাইট এটি গ্রহন করতে চায়না। করলেও অনেক ঝামেলা করে।
২। আপনার একটি সচল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। ডাচ বাংলা ব্যাংক হলে ভাল হয়। অনলাইন সার্ভিস এর ক্ষেত্রে এই ব্যাংক অনেক দ্রুত সেবা দিয়ে থাকে। আপনার যদি বাণিজ্যিক অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে আপনি ওই অ্যাকাউন্ট এর মাধ্যমে একটি আন্তর্জাতিক ভিসা / মাষ্টারকার্ড ( International VISA / Master Card) তৈরি করে নিতে পারেন। এতে আপনার কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে আসবে।
৩। একটি স্থায়ী ঠিকানা। যে ঠিকানায় কোন কাগজ-পত্র পাঠালে আপনি তা হাতে পাবেন।
৪। একটি স্থায়ী মোবাইল নাম্বার। (এটি সবারই আছে। তারপরও উল্লেখ করলাম যাদের প্রিয় শখ নাম্বার পরিবর্তন করা, তাদের উদ্দেশ্যে)
এই চারটির মধ্যে কোনটি যদি আপনার না থাকে, তাহলে আপনি যত দ্রুত সম্ভব তা সমাধান করে নিন। নাহলে শেষমুহূর্তে বিপদে পড়ার সম্ভাবনা আছে।
এবার আসুন, আপনাদের কয়েকটি পেমেন্ট প্রসেসর সাইট এর সাথে পরিচয় করিয়ে দিই।
পেপাল (PayPal):
পেপাল হচ্ছে... আহ হা ... দিলেন তো মনে করিয়ে। কত চেষ্টা করি এই নামটি ভুলে থাকার জন্য। কিন্তু পারলাম আর কই ? পেপাল হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিশ্বস্ত পেমেন্ট প্রসেসর। এটি দিয়ে খুব সহজে লেনদেন করা যায়। আচ্ছা, আপনি কি ছোটবেলায় একটি প্রবাদ বাক্য পড়েছেন ? "বেল পাকলে কাকের কি?" । এই প্রবাদ বাক্য বোঝায় যে, বেল যতই পাকুক, কাক তাতে উপকৃত হবেনা হবেনা। কারন, কাকের ক্ষমতা নেই বেল খাবার। আমাদের ক্ষেত্রেও ঘটনাটি পুরোপুরি বাস্তব। পেপাল অনেক সুযোগ সুবিধা দেয়, কিন্তু তাতে আমাদের লাভ কি ? কারন, পেপাল তো বাংলাদেশকে অনুমোদন দেয়নি । সরকার থেকে গত কয়েক বছর যাবতই আশা দেয়া হচ্ছে, পেপাল আসছে, পেপাল আসছে। কিন্তু, সাধের পেপাল এর মুখ দেখার সৌভাগ্য আর বাংলদেশিদের হল কই ? যাই হোক !! যেটি নেই, তা নিয়ে আর হা-হুতাশ করে কি হবে? আশায় থাকি, কোন একদিন আসবে। সেই কবে থেকেইতো আশায় আশায় পাখির বাসা বাধছি...
পাইজা (Payza):
পেপাল এর পরেই পাইজার অবস্থান। আমরা এটিকে পেপাল এর বিকল্প হিসেবে ব্যাবহার করি। এটি পূর্বে এলার্টপে (AlartPay) নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তন করা হয়। পাইজা তে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। Starter / Personal/ Business এই তিনটি অপশন থেকে Personal সিলেক্ট করুন। সাইন আপ করার সময় অবশ্যই সঠিক এবং পূর্ণ ঠিকানা ব্যাবহার করবেন। সাইন আপ করার পর ই-মেইল ভেরিফাই করুন করুন। এবার আপনি পাইজাতে একটি অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account) পেলেন। এটিকে ভেরিফাইড করার জন্য আপনাকে আপনার পরিচয়ের দুটি প্রমান দিতে হবে। একটি হচ্ছে পূর্বে উল্লেখিত (১) ছবি-সংযুক্ত পরিচয়পত্র অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরেকটি হচ্ছে, আপনার ঠিকানা (২) প্রমানের জন্য একটি গ্যাস / বিদ্যুৎ / টেলিফোন বিল এর কপি। এই দুটি কপি স্কেন করে আপনার অ্যাকাউন্ট এ আপলোড করে দিলে (যদি কোন সমস্যা না থাকে) কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবার এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বিভিন্ন সাইট এ ব্যাবহার করতে পারেন। আমাদের এই সাইট এর ফ্রীলেঞ্চিং সাইট গুলোর মধ্যে Neobux , DonkeyMails এবং Gift Hunter Club পাইজা সমর্থন করে। আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে গেলে আপনি কার্ড এর জন্য আবেদন করতে পারেন। তাহলে, পাইজা কোম্পানি আপনার বাড়ির ঠিকানায় একটি কার্ড পাঠাবে। এই কার্ড দিয়ে আপনি যে কোন ATM বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন। এছাড়া পাইজা অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্র্যান্সফার দিতে পারবেন।
স্ক্রিল (Skrill):
এটি পূর্বে মানিবুকারস (Moneybookers) নামে পরিচিত ছিল। পরবর্তীতে নামটি পরিবর্তন করা হয়। স্ক্রিল এ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। সাইন আপ করার সময় অবশ্যই এবং অবশ্যই সঠিক এবং পূর্ণ ঠিকানা ব্যাবহার করবেন। সাইন আপ করার পর ই-মেইল ভেরিফাই করুন করুন। এবার আপনি স্ক্রিল এ একটি অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account) পেলেন। এটিকে ভেরিফাইড করার জন্য তারা আপনার বাড়ির ঠিকানায় একটি চিঠি পাঠাবে। ওই চিঠিতে একটি পিনকোড থাকবে। এই পিন কোড আপনার অ্যাকাউন্ট এ প্রবেশ করালে আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবার এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বিভিন্ন সাইট এ ব্যাবহার করতে পারেন। আমাদের এই সাইট এর ফ্রীলেঞ্চিং সাইট গুলোর মধ্যে Microworkers স্ক্রিল সমর্থন করে।স্ক্রিল অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্র্যান্সফার দিতে পারবেন।
পারফেক্ট মানি (Perfect Money):
পারফেক্ট মানি তে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন। সাইন আপ করার সময় সঠিক এবং পূর্ণ ঠিকানা ব্যাবহার করবেন (না করলেও সমস্যা নেই, পরবর্তীতে পরিবর্তন করে নিতে পারবেন) । সাইন আপ করার পর ই-মেইল ভেরিফাই করুন করুন। এবার আপনি একটি অযাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট (Non-Verified Account) পেলেন। এটিকে ভেরিফাইড করার জন্য আপনাকে আপনার পরিচয়ের দুটি প্রমান দিতে হবে। একটি হচ্ছে পূর্বে উল্লেখিত (১) ছবি-সংযুক্ত পরিচয়পত্র অর্থাৎ জাতীয় পরিচয়পত্র , পাসপোর্ট অথবা ড্রাইভিং লাইসেন্স। আরেকটি হচ্ছে, আপনার ঠিকানা (২) প্রমানের জন্য একটি গ্যাস / বিদ্যুৎ / টেলিফোন বিল এর কপি। এই দুটি কপি স্কেন করে আপনার অ্যাকাউন্ট এ আপলোড করে দিলে (যদি কোন সমস্যা না থাকে) কয়েকদিনের মধ্যেই আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই হয়ে যাবে। এবার এই অ্যাকাউন্টটি আপনি বিভিন্ন সাইট এ ব্যাবহার করতে পারেন। পারফেক্ট মানি অ্যাকাউন্ট থেকে আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টেও টাকা ট্র্যান্সফার দিতে পারবেন।
বিটকয়েন (BitCoin):
বিটকয়েন হচ্ছে একটি ভার্চুয়াল কারেন্সি। এটি ২০০৯ সালে চালু হয়। তখন এটির বাজারমূল্য খুবই কম ছিল। ১ ডলার দিয়ে শত শত বিতকয়েন পাওয়া যেত। কিন্তু, পরবর্তীতে এর গ্রহণযোগ্যটা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে মূল্যও বৃদ্ধি পেয়েছে।
ফেব্রুয়ারি ২০১১, ১ টি বিটকয়েন ১ ডলার।
জুন ২০১১, ১ টি বিটকয়েন ১০ ডলার।
মার্চ ২০১৩, ১ টি বিটকয়েন ৫০ ডলার।
জুলাই ২০১৩, ১ টি বিটকয়েন ১০০ ডলার।
নভেম্বর ২০১৩, ১ টি বিটকয়েন ৫০০ ডলার।
আজকে (১৯-১-২০১৪) একটি বিটকয়েনের মূল্য ৮০৪ ডলার।
বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় সাইট বিটকয়েনের মাধ্যমে পেমেন্ট গ্রহন-প্রদান করছে। বিটকয়েনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে নিরাপত্তা। এরা ১০০% ফ্রীতে প্রতিটি স্টেপে এস এম এস সিকিউরিটি দিয়ে থাকে। বিটকয়েনে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য এখানে ক্লিক করুন।
আজ এততুকুই। পরবর্তীতে এই বিষয় নিয়ে আরও লেখার চেষ্টা করব। ধন্যবাদ।
Excellent post
উত্তরমুছুনএ বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে সেরা ৩টি PTC সাইট । বেশি সময় কাজ করতে হয়না। ঠিকমত পেমেন্ট দিয়ে আসতেছে। কাজ করতে চাইলে দেখুন।https://moneyonline-earnbd.blogspot.com/p/blog-page.html
উত্তরমুছুনআপনার বিদেশের মাটিতে যাওয়া, প্লেনের টিকেট কাটা, হোটেল বিল, গাড়ি ভাড়া সহ সমস্ত খরচ এখন অনলাইনে পরিশোধ করুন আমাদের একটি কার্ড দিয়ে। আপনার অনলাইন বিজ্ঞাপন ক্যাম্পেইন এর জন্য পেমেন্ট করুন ( যেমনঃ Facebook, Google, Youtube, Twitter, Instagram etc.). সবই একসাথে Q Card এর সাথে। Website: www.mastercards.co
উত্তরমুছুন