ফ্রীল্যান্সিং কি ?
বর্তমান সময়ে ফ্রীল্যান্সিং শব্দটি কারই অজানা নেই । ফ্রীল্যান্সিং বলতে আমরা মূলত আমাদের স্বাভাবিক কাজের পাশাপাশি অনলাইন এ একটি বাডতি উপার্জনের উত্স তৈরী করাকেই নির্দেশ করি ।ফ্রীল্যান্সিং কারা করে ?
চাকরিজীবি , ছাত্র-ছাত্রী , গৃহিনী , বেকার সকলে নির্বিশেষে এটি করতে পারে ।
কেন ফ্রীল্যান্সিং করবেন?
অবসর সময়কে নষ্ট না করে ঘরে বসে বিনা পুজিতে অথবা সল্প পুজিতে গ্রহণযোগ্য আয় করাই ফ্রীল্যান্সিং এর মূল সুবিধা ।
ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য কি প্রয়োজন ?
একটি কম্পিউটার , ইন্টারনেট সংযোগ ও ক্ষেত্রবিশেষে স্বল্প কিছু পুজি । এছাড়াও , কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা এবং সাধারণ ইংরেজি জ্ঞান (পডে বোঝার ও লিখার ক্ষমতা) থাকা প্রয়োজন ।
কারা এখানে সফল হয় ?
ফ্রীল্যান্সিং এ সফল হওয়ার জন্য প্রয়জন ধৈর্য , একনিষ্ঠতা , সততা , শেখার ও জানার মানসিকতা সর্বপরি গবেষণামূলক মনোভাব ।
কি কাজ করতে হবে ?
এখানে বিভিন্ন শ্রেনীর কর্মীর জন্য বিভিন্ন ধাপের কাজ রয়েছে ।- প্রাথমিক ধাপ : এই ধাপের কর্মী হচ্ছে তারা, যারা ফ্রীল্যান্সিং জগতে সম্পূর্ণ নতুন । কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা আছে । এরা সাধারণত বিনা পুজিতে আয় করতে বেশি আগ্রহী হয়। এদের জন্য রয়েছে PTC , PPC , Data Entry , Micro-Job, Chapcha-Solving ও অন্যন্য কিছু কাজ ।
- মধ্যম ধাপ : প্রাথমিক ধাপে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে একজন কর্মী মধ্যম ধাপে অবতরণ করে । এদের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আছে কিছু নিয়ম কানুন ও কলা কৌশল সম্পর্কে ধারণা। এই ধাপে কর্মীর আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এরা স্বল্প পুজি বিনিযোগ এর মাধ্যমে তাদের আয় বৃদ্ধি করতে পারে। এই ধাপের কর্মীদের জন্য রয়েছে Online Marketing , E-Mail Marketing , Affiliate Marketing , Social Media Marketing ইত্যাদি।
- বিশেষ ধাপ : প্রাথমিক বা মধ্যম ধাপের কর্মী কোনো একটি বা একাধিক বিষয়ের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে এই ধাপে আসতে পারে । বিষয় হতে পারে Web Design and Development , Software Programming and Development , Graphics Design , Networking , SEO (Search Engine Optimization) এবং আরো অনেক কিছু । এই ধাপের কর্মীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ফ্রীল্যান্সিং কে মূল পেশা হিসেবে গ্রহণ করে ।
ফ্রীল্যান্সিং বিষয়ে কিছু কথা :
- এখানে রাতারাতি ধনী হবার কোনো সুযোগ নেই । সময়, শ্রম ও মেধা বিনিযোগ করে এখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে হয় ।
- ধীরে ধীরে আয় বাড়বে । প্রথম পর্যায়ে আয় কম অথবা না হলে ও ধৈর্য সহকারে কাজ করে যেতে হবে ।
- ইন্টারনেট এ প্রত্যেকটি বিষয়ে অনেক গুলো ভুয়া সাইট আছে । এগুলো থেকে সাবধান থাকতে হবে ।
- টাকা উপার্জন করার পর টাকা উত্তোলন নিয়ে বাংলাদেশ এ কিছু সমস্যা আছে । এগুলো নিয়ে আমাদের সাইট এ আলোচনা করা হয়েছে ।
- পরবর্তিতে কিছু বিনিযোগ করে আয় বাড়ানো যায়। প্রাথমিক পর্যায়ে বিনিযোগ না করাই ভালো ।
- যেকোনো বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত না জেনে কাজ শুরু করলে ক্ষতির সম্ভাবনা আছে ।
- যারা সম্পূর্ণভাবে বেকার , তাদের জীবনের প্রথম পেশা হিসেবে ফ্রীল্যান্সিং কে বেছে নেবার জন্য আমি উত্সাহিত করি না ।
১। বাংলাদেশের ধিরগতির ইন্টারনেট সংযোগ।
সমাধানঃ বাংলালায়ন (Banglalion) , কিউবি (Qubee) এর ও অনেকটাই দ্রুতগতি প্রদান করে।
২। বাংলাদেশে পেপাল অর্থ প্রক্রিয়াকারী নেই।
সমাধানঃ পাইযা ও নিটেলার ব্যাবহার করে অনেকটা সমাধান সম্ভব।
৩। অ্যাকাউন্ট ভ্যারিফিকেশন এর জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র ও ঠিকানা প্রমানপত্র প্রদান।
৪। অনেক বেশী কর ও বিবিদ খরচ।