বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অনালাইনে একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট, বাড়ি-গাড়ির মত একটি সম্পত্তি হিসেবে বিবেচিত হয়। ইন্টারনেট ব্যাবহারকারি মাত্রই চায় একটি ওয়েবসাইট এর মালিক হতে। ওয়েবসাইট আপনার ভার্চুয়াল পৃথিবী। এখানে আপনি যাবতীয় তথ্য প্রচার করতে পারবেন। আপনার পছন্দমত পদ্ধতিতে যেকোনো বিষয়বস্তু তুলে ধরতে পারবেন।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?
অনেকেই জানে না যে, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি লাগে। প্রথমত লাগে ডোমেইন, ধরুন ফেসবুকের ওয়েবসাইট www.facebook.com এর এই নাম / লিঙ্কটি হচ্ছে ডোমেইন নেইম। এই সতন্ত্র নামের মাধ্যমে ব্যাবহারকারি সাইটকে অগনিত সাইট থেকে আলাদা করে। এটি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে যেকোন ডোমেইন প্রভাইডার কোম্পানি থেকে কিনে নেয়া যায়। যে নামগুলো এখনো ব্যাবহার হয়নি, সেগুলো থেকে একটি আপনি পছন্দ করে আপনার নামে মালিকানা নিয়ে নিতে পারবেন। এই মালিকানা ধরে রাখার জন্য প্রতি বছর একটি বাৎসরিক ফি প্রদান করে আপনার ডোমেইন নাম রিনিউ করে নিতে হয়। (টাকা ছাড়াও ফ্রী টি সাব-ডোমেইন এবং কোন কোন কোম্পানি এর মুল ডোমেইনও পাওয়া যায়। কাজ শেখার জন্য ফ্রী ডোমেইন ভালো, কিন্তু পেশাগত ব্যাবহার এর জন্য কিনে নেয়াই উচিত। ফ্রী ডোমেইন এ কিছু সমস্যা ও সিমাবদ্ধতা রয়েছে) নাম তো হয়ে গেল, সাইট কোথায়। আপনার মোবাইলে/কম্পিউটার এর একটি গান রাখতে যেমন মেমোরি প্রয়োজন, তেমনি আপনার ওয়েবসাইট সংরক্ষিত রাখার জন্যও একটি হোস্টিং স্পেস বা যায়গা প্রয়োজন। এই স্পেস আপনি কোন হোস্টিং কোম্পানি থেকে কিনে নিতে পারেন। আপনি চাইলে একই কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে পারেন। আলাদা আলাদা ও কিনতে পারেন। অনেক ভুয়া ও প্রতারক ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানিও বাজারে রয়েছে। তাই যাচাই করে কেনাই ভালো। (টাকা ছাড়া ফ্রী হোস্টিংও পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও কাজ শেখার জন্য ফ্রী হোস্টিং ভালো, কিন্তু পেশাগত ব্যাবহার এর জন্য কিনে নেয়াই উচিত। ফ্রী হোস্টিং এ ও কিছু সমস্যা,সিমাবদ্ধতা রয়েছে)। আচ্ছা, ডোমেইন হোস্টিং হোল। এবার সাইট ডিজাইন করার পালা। যেকোনো ওয়েব ডিজাইনার দিয়েই আপনি আপনার সাইট ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। আপনার সাইট যদি স্ট্যাটিক হয়, অর্থাৎ এখানে কোন হিসাব নিকাশ না থাকে, তাহলে ডিজাইন করা সাইটটি সরাসরি হোস্টিং এ প্রকাশ করে দিতে পারেন। আর যদি হিসাব নিকাশ, অ্যাকাউন্ট ব্যাবস্থাপনা ইত্যাদির কাজ থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ওয়েব ডেভেলপার এর সাহায্য নিতে হবে। আপনার সম্পূর্ণ প্রকল্পের উপর বাজেট নির্ভর করবে।
উপরের যেকোনো সার্ভিস এর জন্য আপনি চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাকে ফেসবুকে এড করে যোগাযোগ করতে পারেন।। এছাড়াও আমার প্রোফাইলে মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে।
সাইট তৈরি হয়ে গেল, কিন্তু আপনার সাইটে কেউ আসে না। এখন কি করবেন? বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে ডেকে ভিজিটর আনবেন? অবশ্যই না।
সার্চ ইঞ্জিন থেকে নিয়মিত ভিজিটর পেতে হলে সাইটের অবশ্যই এস ই ও করতে হবে। আমার এই ব্লগে এস ই ও এর একটি ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল আমি নিয়মিত প্রকাশ করছি। আপনি চাইলে ধীরে ধীরে এটি পড়েও এস ই ও শিখতে পারেন। শিখে শিখে এস ই ও করা অনেক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, তাই আপনি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে চুক্তির ভিত্তিতে একজন এস ই ও কনসালটেন্ট হায়ার করতে পারেন। চাইলে আমার সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
এস ই ও করা ছাড়া, সরাসরি ফ্রী ভিজিটর পাওয়ার কয়েকটি উপায় আমি পূর্বের এই পোস্ট এ প্রকাশ করেছিলাম।
যেকোন পদ্ধতি ব্যাবহার করে আপনি অনেক ভিজিটর পেলেন। এবার আমরা এই পোস্ট এর মুল বিষয়ে যাই। এতো ভিজিটর দিয়ে কি করবেন আপনি? যদি আপনার সাইট পণ্য / সেবা বিক্রয় সঙ্ক্রান্ত হয়, তাহলেতো আপনি সেটি বিক্রয় করে আয় করবেন। আর যদি না হয়? ধরুন অনলাইন পত্রিকার সাইট বা অনন্য তথ্যভিত্তিক ব্লগ ইত্যাদি। এই সাইট এ যে ভিজিটররা আসছে, তাদের মাধ্যমে আয় করার একমাত্র উপায় সাইট এ বিজ্ঞাপন প্রকাশ।
বিজ্ঞাপন কোথায় পাবেন?
প্রথমত আপনি নিজের কোন পণ্য থাকলে তার বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আপনার যদি একটি মোবাইল দোকান থাকে, আর একটি সাইট (অসংখ্য ভিজিটরসহ) থাকে, তাহলে আপনার সাইটে কয়েকটি মোবাইল এর বিজ্ঞাপন (ছবিসহ) দিতে পারেন। সেখান থেকে কেউ কল করে আপনার কাছ থেকে মোবাইল কিনতে পারে। বিক্রয় এর আয় সবসময় পরিষ্কার আয়ের মাধ্যম।
আপনার যদি কোন পণ্য না থাকে, তাহলে আপনি অন্যের পণ্য এর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেন। এটির আবার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। একটি হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক এড। আপনি সরাসরি যেকোন পণ্যের বিক্রেতার সাথে (মাসিক/বার্ষিক) চুক্তি করে তার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেন। আপনার লাভ হচ্ছে আপনি বিজ্ঞাপন থেকে টাকা পাচ্ছেন। আর তার লাভ হচ্ছে, তার পণ্য বিক্রয় হচ্ছে।
এছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। যে পণ্যগুলো ইতিমধ্যেই অনলাইনে বিক্রয় হচ্ছে, এবং অনেকেই এর মার্কেটিং করছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, অনেকেই যদি একই পণ্যের মার্কেটিং করে, তাহলে কোন পণ্যটি কার বিজ্ঞাপন থেকে বিক্রয় হয়েছে, এটি বিক্রেতা বুঝবে কি করে? এটির উত্তর হচ্ছে সকল বিপননকারিকে (যারা মার্কেটিং করছেন) একটি করে সতন্ত্র (Unique) রেফারেল লিঙ্ক বা এফিলিয়েট লিঙ্ক দেয়া হয়। সবাই যার যার নিজস্ব লিঙ্কটিই প্রচার করে। যে লিঙ্ক থেকে ভিজিটর আসে, সেই লিঙ্ক এর মালিককেই অর্থ দেয়া হয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপনেও দুই ধরনের চুক্তি থাকে। একটি হচ্ছে ভিজিটর এর উপর পে করবে। অন্যটি হচ্ছে পণ্য বিক্রয়ের উপর একটি নির্দিষ্ট অংশ বোনাস। আমি আপনাদের পূর্বের একটি পোস্টে কয়েকটি সাইট দিয়েছিলাম, যেগুলোতে আপনি এফিলিয়েট ব্যানার পাবেন। এই ব্যানারগুলোতে কোন ভিজিটর ক্লিক করলে আপনি পেমেন্ট পাবেন। আবার কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ বিনিয়োগ করে শেয়ার কিনলেও আপনি বিনিয়োগ এর ২৫% কমিশন পাবেন।
লিঙ্ক শর্ট করেও আয় করা। যায়, আপনার সাইট যদি ডাউনলোড সাইট হয়ে, ধরুন গান, মুভি, সফটওয়্যার ইত্যাদি নিজস্ব হোস্টিং এ না দিয়ে অন্য কোন ফাইল শেয়ারিং সাইটে আপলোড করেন, এবং আপনার সাইট এর পোস্ট এর মধ্যে ওই ফাইলের লিঙ্ক দেন, তাহলে ওই লিঙ্ক গুলো এই শর্ট সাইটের মাধ্যমে ছোট করে নিতে পারেন। এই ছোট লিঙ্কে কোন ভিজিটর ক্লিক করলে ৩-৫ সেকেন্ড যাবৎ সে একটি বিজ্ঞাপন দেখবে। ৩-৫ সেকেন্ড পর সে উপরে ডান পাশে একটি বাটন দেখতে পাবে Skip Ad লেখা। ওই বাটনে ক্লিক করলে ভিজিটর কাঙ্ক্ষিত লিঙ্ক এ প্রবেশ করবে। যদিও, অনেক ক্ষেত্রে ভিজিটর এই বিজ্ঞাপন দেখে বিরক্ত হয়, কিন্তু আপনার শেয়ার করা লিঙ্ক যদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে ইউজার এই বিরক্তি কাটিয়েই লিঙ্ক এ ক্লিক করবে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউআরএল শর্টনার সাইট হচ্ছে adf.ly এই সাইট ভালই পে করে। কিন্তু এটির একটি সমস্যা হচ্ছে এটি কিছু দিন পর পর আইনগত কারনে বন্ধ হয়ে যায় (এখন পর্যন্ত) । এটির কবে সমাধান হবে, সেটিও আমার জানা নেই। এটি খুবই ক্ষতিকর। এই সাইট যখন বন্ধ থাকে, তখন আপনার শর্ট লিঙ্ক তথা বিজ্ঞাপনও দেখায় না। আবার ইউজার মুল লিঙ্ক এ ও যেতে পারে না, এরর দেখে। এটি সাইট এর বদনাম করার জন্য যথেষ্ট। তাই এর বিকল্প আরেকটি সাইট হচ্ছে sh.st এই সাইট তুলনামুলকভাবে অনেক ভালো। ৫ ডলার অ্যাকাউন্ট এ জমা হলেই পেপাল এ টাকা পেয়ে যাবেন। আবারও বলছি, শর্ট লিঙ্ক ইউজার এর বিরক্তির কারন হয়, আপনার সাইট থেকে যে লিঙ্ক আপনি শর্ট দিয়েছেন, সেটি ইউজার এর খুব বেশি প্রয়োজন না হলে সে ৫ সেকেন্ড সময় আপনার জন্য নষ্ট করবে না। আপনার অ্যাকাউন্ট এ লগ ইন করার পর কিছু স্বয়ংক্রিয় কোড পাবেন, যেটি সাইটের মুল কোড এর সাথে সংযুক্ত করে দিলে সাইটের সবগুলো লিঙ্ক, অথবা কিছু নির্ধারিত লিঙ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে একসাথে শর্ট হয়ে যাবে। একটি একটি করে আর আলাদাভাবে শর্ট করতে হবে না।
এখন আমরা কথা বলব এড মিডিয়া নিয়ে। এড মিডিয়া হচ্ছে এমন একটি কোম্পানি যারা বিজ্ঞাপন বিপনন করে। বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে, সেগুলো বিভিন্ন সাইটে প্রকাশ করে। বিজ্ঞাপনদাতাদের Advertiser এবং সাইটের মালিকদের Publisher বলা হয়ে থাকে। এই এড মিডিয়াগুলো বিজ্ঞাপনদাতা এবং সাইট মালিকদের সংযোগ স্থাপন করে। জনপ্রিয় এড মিডিয়া হচ্ছে গুগল এডসেন্স, চিতিকা, বিডভাইজার ইত্যাদি। এছাড়াও বাংলাদেশী কিছু এড মিডিয়া আছে, যেমন গ্রিন-রেড, আমাদের এড, শোরগোল এড ইত্যাদি। আমি পূর্বে এই ব্লগে আমাদের এড নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। আমি নিজেও এই সার্ভিস কয়েক মাস ব্যাবহার করলাম। কিন্তু, সাইট নতুন হওয়াতে পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন নেই তাদের হাতে। তা ছাড়া রেটও অনেক কম দিচ্ছে। তাই আমি আপাতত এটি আর ব্যাবহার করছিনা। পরে যদি কখনো তারা তাদের সেবা উন্নত করে, তখন হয়তো ব্যাবহার করবো।
এখন আমি ব্যাবহার করছি বিডভার্টাইযার । এটি খুবই জনপ্রিয় একটি এড মিডিয়া, যেটিতে প্রায় সবসময় বিজ্ঞাপন থাকবে। বিডভার্টাইযার এ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিচের ব্যানারটিতে ক্লিক করুন।
yllix ও ভালো টাকা পে করে। yllix এ অ্যাকাউন্ট খুলতে নিচের ব্যানারটিতে
এছাড়া আরেকটি সাইটও ব্যাবহার করতে পারেন। এখানে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন। লগ ইন করে আপনার ওয়েবসাইট লিঙ্ক সাবমিট করুন। ১-২ দিন পরে এপ্রুভ হবে। এপ্রুভ হওয়ার পর কোড নিয়ে আপনার সাইটে সংযুক্ত করুন। এবার আপনার সাইটে পপ আপ এড দেখাবে। প্রতি ১০০০ ভিজিটর এর জন্য আপনাকে ৩০-৪০ সেন্ট দেবে। এখানে পে রেইট বাড়ে-কমে।
এখানে আপনি আপনার সাইট এড করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। আর পেমেন্ট পেপাল (সর্বনিম্ন ১০ ডলার) , ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন (সর্বনিম্ন ১০০ ডলার), চেক (সর্বনিম্ন ১০০ ডলার), ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার (সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার) এর যেকোন একটিতে নিতে পারবেন।
আরও একটি পপ আপ বিজ্ঞাপন এর সাইট পাবেন এখানে । এখান থেকে পেপাল বা পাইজাতে সর্বনিম্ন ৫ ডলার, পাইওনিয়ার মাষ্টার কার্ড এ সর্বনিম্ন ২০ ডলার, এবং ব্যাংক এ ট্রান্সফার দিতে পারবেন ২০০০ ডলার হলে।
আজ এততুকুই। আশা করছি উপরের পদ্ধতিগুলো ব্যাবহার করে আপনার সাইটের ভিজিটর এর মাধ্যমে ভালই আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, বেশি আয়ের আশায় বেশি বিজ্ঞাপন দিয়ে সাইট নোংরা করবেন না। একটি সাইটে/পেইজে সর্বোচ্ছ তিনটি বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা ভালো। তাই আয় বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন না বাড়িয়ে ভিজিটর বাড়ান।
ধন্যবাদ সবাইকে।
একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি কি লাগে?
অনেকেই জানে না যে, ওয়েবসাইট তৈরি করতে কি লাগে। প্রথমত লাগে ডোমেইন, ধরুন ফেসবুকের ওয়েবসাইট www.facebook.com এর এই নাম / লিঙ্কটি হচ্ছে ডোমেইন নেইম। এই সতন্ত্র নামের মাধ্যমে ব্যাবহারকারি সাইটকে অগনিত সাইট থেকে আলাদা করে। এটি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে যেকোন ডোমেইন প্রভাইডার কোম্পানি থেকে কিনে নেয়া যায়। যে নামগুলো এখনো ব্যাবহার হয়নি, সেগুলো থেকে একটি আপনি পছন্দ করে আপনার নামে মালিকানা নিয়ে নিতে পারবেন। এই মালিকানা ধরে রাখার জন্য প্রতি বছর একটি বাৎসরিক ফি প্রদান করে আপনার ডোমেইন নাম রিনিউ করে নিতে হয়। (টাকা ছাড়াও ফ্রী টি সাব-ডোমেইন এবং কোন কোন কোম্পানি এর মুল ডোমেইনও পাওয়া যায়। কাজ শেখার জন্য ফ্রী ডোমেইন ভালো, কিন্তু পেশাগত ব্যাবহার এর জন্য কিনে নেয়াই উচিত। ফ্রী ডোমেইন এ কিছু সমস্যা ও সিমাবদ্ধতা রয়েছে) নাম তো হয়ে গেল, সাইট কোথায়। আপনার মোবাইলে/কম্পিউটার এর একটি গান রাখতে যেমন মেমোরি প্রয়োজন, তেমনি আপনার ওয়েবসাইট সংরক্ষিত রাখার জন্যও একটি হোস্টিং স্পেস বা যায়গা প্রয়োজন। এই স্পেস আপনি কোন হোস্টিং কোম্পানি থেকে কিনে নিতে পারেন। আপনি চাইলে একই কোম্পানি থেকে ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনতে পারেন। আলাদা আলাদা ও কিনতে পারেন। অনেক ভুয়া ও প্রতারক ডোমেইন হোস্টিং কোম্পানিও বাজারে রয়েছে। তাই যাচাই করে কেনাই ভালো। (টাকা ছাড়া ফ্রী হোস্টিংও পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও কাজ শেখার জন্য ফ্রী হোস্টিং ভালো, কিন্তু পেশাগত ব্যাবহার এর জন্য কিনে নেয়াই উচিত। ফ্রী হোস্টিং এ ও কিছু সমস্যা,সিমাবদ্ধতা রয়েছে)। আচ্ছা, ডোমেইন হোস্টিং হোল। এবার সাইট ডিজাইন করার পালা। যেকোনো ওয়েব ডিজাইনার দিয়েই আপনি আপনার সাইট ডিজাইন করিয়ে নিতে পারেন। আপনার সাইট যদি স্ট্যাটিক হয়, অর্থাৎ এখানে কোন হিসাব নিকাশ না থাকে, তাহলে ডিজাইন করা সাইটটি সরাসরি হোস্টিং এ প্রকাশ করে দিতে পারেন। আর যদি হিসাব নিকাশ, অ্যাকাউন্ট ব্যাবস্থাপনা ইত্যাদির কাজ থাকে। তাহলে অবশ্যই আপনাকে একজন ওয়েব ডেভেলপার এর সাহায্য নিতে হবে। আপনার সম্পূর্ণ প্রকল্পের উপর বাজেট নির্ভর করবে।
উপরের যেকোনো সার্ভিস এর জন্য আপনি চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাকে ফেসবুকে এড করে যোগাযোগ করতে পারেন।। এছাড়াও আমার প্রোফাইলে মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে।
সাইট তৈরি হয়ে গেল, কিন্তু আপনার সাইটে কেউ আসে না। এখন কি করবেন? বাড়ি বাড়ি গিয়ে ডেকে ডেকে ভিজিটর আনবেন? অবশ্যই না।
সার্চ ইঞ্জিন থেকে নিয়মিত ভিজিটর পেতে হলে সাইটের অবশ্যই এস ই ও করতে হবে। আমার এই ব্লগে এস ই ও এর একটি ধারাবাহিক টিউটোরিয়াল আমি নিয়মিত প্রকাশ করছি। আপনি চাইলে ধীরে ধীরে এটি পড়েও এস ই ও শিখতে পারেন। শিখে শিখে এস ই ও করা অনেক দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা, তাই আপনি নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে চুক্তির ভিত্তিতে একজন এস ই ও কনসালটেন্ট হায়ার করতে পারেন। চাইলে আমার সাথেও যোগাযোগ করতে পারেন।
এস ই ও করা ছাড়া, সরাসরি ফ্রী ভিজিটর পাওয়ার কয়েকটি উপায় আমি পূর্বের এই পোস্ট এ প্রকাশ করেছিলাম।
যেকোন পদ্ধতি ব্যাবহার করে আপনি অনেক ভিজিটর পেলেন। এবার আমরা এই পোস্ট এর মুল বিষয়ে যাই। এতো ভিজিটর দিয়ে কি করবেন আপনি? যদি আপনার সাইট পণ্য / সেবা বিক্রয় সঙ্ক্রান্ত হয়, তাহলেতো আপনি সেটি বিক্রয় করে আয় করবেন। আর যদি না হয়? ধরুন অনলাইন পত্রিকার সাইট বা অনন্য তথ্যভিত্তিক ব্লগ ইত্যাদি। এই সাইট এ যে ভিজিটররা আসছে, তাদের মাধ্যমে আয় করার একমাত্র উপায় সাইট এ বিজ্ঞাপন প্রকাশ।
বিজ্ঞাপন কোথায় পাবেন?
প্রথমত আপনি নিজের কোন পণ্য থাকলে তার বিজ্ঞাপন দিতে পারেন। আপনার যদি একটি মোবাইল দোকান থাকে, আর একটি সাইট (অসংখ্য ভিজিটরসহ) থাকে, তাহলে আপনার সাইটে কয়েকটি মোবাইল এর বিজ্ঞাপন (ছবিসহ) দিতে পারেন। সেখান থেকে কেউ কল করে আপনার কাছ থেকে মোবাইল কিনতে পারে। বিক্রয় এর আয় সবসময় পরিষ্কার আয়ের মাধ্যম।
আপনার যদি কোন পণ্য না থাকে, তাহলে আপনি অন্যের পণ্য এর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেন। এটির আবার অনেকগুলো পদ্ধতি আছে। একটি হচ্ছে চুক্তিভিত্তিক এড। আপনি সরাসরি যেকোন পণ্যের বিক্রেতার সাথে (মাসিক/বার্ষিক) চুক্তি করে তার বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে পারেন। আপনার লাভ হচ্ছে আপনি বিজ্ঞাপন থেকে টাকা পাচ্ছেন। আর তার লাভ হচ্ছে, তার পণ্য বিক্রয় হচ্ছে।
এছাড়াও আরেকটি পদ্ধতি হচ্ছে এফিলিয়েট মার্কেটিং। যে পণ্যগুলো ইতিমধ্যেই অনলাইনে বিক্রয় হচ্ছে, এবং অনেকেই এর মার্কেটিং করছে। এখন আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, অনেকেই যদি একই পণ্যের মার্কেটিং করে, তাহলে কোন পণ্যটি কার বিজ্ঞাপন থেকে বিক্রয় হয়েছে, এটি বিক্রেতা বুঝবে কি করে? এটির উত্তর হচ্ছে সকল বিপননকারিকে (যারা মার্কেটিং করছেন) একটি করে সতন্ত্র (Unique) রেফারেল লিঙ্ক বা এফিলিয়েট লিঙ্ক দেয়া হয়। সবাই যার যার নিজস্ব লিঙ্কটিই প্রচার করে। যে লিঙ্ক থেকে ভিজিটর আসে, সেই লিঙ্ক এর মালিককেই অর্থ দেয়া হয়। এই ধরনের বিজ্ঞাপনেও দুই ধরনের চুক্তি থাকে। একটি হচ্ছে ভিজিটর এর উপর পে করবে। অন্যটি হচ্ছে পণ্য বিক্রয়ের উপর একটি নির্দিষ্ট অংশ বোনাস। আমি আপনাদের পূর্বের একটি পোস্টে কয়েকটি সাইট দিয়েছিলাম, যেগুলোতে আপনি এফিলিয়েট ব্যানার পাবেন। এই ব্যানারগুলোতে কোন ভিজিটর ক্লিক করলে আপনি পেমেন্ট পাবেন। আবার কেউ অ্যাকাউন্ট খুলে অর্থ বিনিয়োগ করে শেয়ার কিনলেও আপনি বিনিয়োগ এর ২৫% কমিশন পাবেন।
লিঙ্ক শর্ট করেও আয় করা। যায়, আপনার সাইট যদি ডাউনলোড সাইট হয়ে, ধরুন গান, মুভি, সফটওয়্যার ইত্যাদি নিজস্ব হোস্টিং এ না দিয়ে অন্য কোন ফাইল শেয়ারিং সাইটে আপলোড করেন, এবং আপনার সাইট এর পোস্ট এর মধ্যে ওই ফাইলের লিঙ্ক দেন, তাহলে ওই লিঙ্ক গুলো এই শর্ট সাইটের মাধ্যমে ছোট করে নিতে পারেন। এই ছোট লিঙ্কে কোন ভিজিটর ক্লিক করলে ৩-৫ সেকেন্ড যাবৎ সে একটি বিজ্ঞাপন দেখবে। ৩-৫ সেকেন্ড পর সে উপরে ডান পাশে একটি বাটন দেখতে পাবে Skip Ad লেখা। ওই বাটনে ক্লিক করলে ভিজিটর কাঙ্ক্ষিত লিঙ্ক এ প্রবেশ করবে। যদিও, অনেক ক্ষেত্রে ভিজিটর এই বিজ্ঞাপন দেখে বিরক্ত হয়, কিন্তু আপনার শেয়ার করা লিঙ্ক যদি অনেক গুরুত্বপূর্ণ হয়, তাহলে ইউজার এই বিরক্তি কাটিয়েই লিঙ্ক এ ক্লিক করবে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় ইউআরএল শর্টনার সাইট হচ্ছে adf.ly এই সাইট ভালই পে করে। কিন্তু এটির একটি সমস্যা হচ্ছে এটি কিছু দিন পর পর আইনগত কারনে বন্ধ হয়ে যায় (এখন পর্যন্ত) । এটির কবে সমাধান হবে, সেটিও আমার জানা নেই। এটি খুবই ক্ষতিকর। এই সাইট যখন বন্ধ থাকে, তখন আপনার শর্ট লিঙ্ক তথা বিজ্ঞাপনও দেখায় না। আবার ইউজার মুল লিঙ্ক এ ও যেতে পারে না, এরর দেখে। এটি সাইট এর বদনাম করার জন্য যথেষ্ট। তাই এর বিকল্প আরেকটি সাইট হচ্ছে sh.st এই সাইট তুলনামুলকভাবে অনেক ভালো। ৫ ডলার অ্যাকাউন্ট এ জমা হলেই পেপাল এ টাকা পেয়ে যাবেন। আবারও বলছি, শর্ট লিঙ্ক ইউজার এর বিরক্তির কারন হয়, আপনার সাইট থেকে যে লিঙ্ক আপনি শর্ট দিয়েছেন, সেটি ইউজার এর খুব বেশি প্রয়োজন না হলে সে ৫ সেকেন্ড সময় আপনার জন্য নষ্ট করবে না। আপনার অ্যাকাউন্ট এ লগ ইন করার পর কিছু স্বয়ংক্রিয় কোড পাবেন, যেটি সাইটের মুল কোড এর সাথে সংযুক্ত করে দিলে সাইটের সবগুলো লিঙ্ক, অথবা কিছু নির্ধারিত লিঙ্ক স্বয়ংক্রিয়ভাবে একসাথে শর্ট হয়ে যাবে। একটি একটি করে আর আলাদাভাবে শর্ট করতে হবে না।
এখন আমরা কথা বলব এড মিডিয়া নিয়ে। এড মিডিয়া হচ্ছে এমন একটি কোম্পানি যারা বিজ্ঞাপন বিপনন করে। বিজ্ঞাপনদাতাদের থেকে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়ে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে, সেগুলো বিভিন্ন সাইটে প্রকাশ করে। বিজ্ঞাপনদাতাদের Advertiser এবং সাইটের মালিকদের Publisher বলা হয়ে থাকে। এই এড মিডিয়াগুলো বিজ্ঞাপনদাতা এবং সাইট মালিকদের সংযোগ স্থাপন করে। জনপ্রিয় এড মিডিয়া হচ্ছে গুগল এডসেন্স, চিতিকা, বিডভাইজার ইত্যাদি। এছাড়াও বাংলাদেশী কিছু এড মিডিয়া আছে, যেমন গ্রিন-রেড, আমাদের এড, শোরগোল এড ইত্যাদি। আমি পূর্বে এই ব্লগে আমাদের এড নিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছিলাম। আমি নিজেও এই সার্ভিস কয়েক মাস ব্যাবহার করলাম। কিন্তু, সাইট নতুন হওয়াতে পর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন নেই তাদের হাতে। তা ছাড়া রেটও অনেক কম দিচ্ছে। তাই আমি আপাতত এটি আর ব্যাবহার করছিনা। পরে যদি কখনো তারা তাদের সেবা উন্নত করে, তখন হয়তো ব্যাবহার করবো।
এখন আমি ব্যাবহার করছি বিডভার্টাইযার । এটি খুবই জনপ্রিয় একটি এড মিডিয়া, যেটিতে প্রায় সবসময় বিজ্ঞাপন থাকবে। বিডভার্টাইযার এ অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিচের ব্যানারটিতে ক্লিক করুন।
yllix ও ভালো টাকা পে করে। yllix এ অ্যাকাউন্ট খুলতে নিচের ব্যানারটিতে
এছাড়া আরেকটি সাইটও ব্যাবহার করতে পারেন। এখানে ক্লিক করে রেজিস্ট্রেশন করুন। লগ ইন করে আপনার ওয়েবসাইট লিঙ্ক সাবমিট করুন। ১-২ দিন পরে এপ্রুভ হবে। এপ্রুভ হওয়ার পর কোড নিয়ে আপনার সাইটে সংযুক্ত করুন। এবার আপনার সাইটে পপ আপ এড দেখাবে। প্রতি ১০০০ ভিজিটর এর জন্য আপনাকে ৩০-৪০ সেন্ট দেবে। এখানে পে রেইট বাড়ে-কমে।
এখানে আপনি আপনার সাইট এড করে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন। আর পেমেন্ট পেপাল (সর্বনিম্ন ১০ ডলার) , ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন (সর্বনিম্ন ১০০ ডলার), চেক (সর্বনিম্ন ১০০ ডলার), ব্যাঙ্ক ট্রান্সফার (সর্বনিম্ন ৫০০ ডলার) এর যেকোন একটিতে নিতে পারবেন।
আরও একটি পপ আপ বিজ্ঞাপন এর সাইট পাবেন এখানে । এখান থেকে পেপাল বা পাইজাতে সর্বনিম্ন ৫ ডলার, পাইওনিয়ার মাষ্টার কার্ড এ সর্বনিম্ন ২০ ডলার, এবং ব্যাংক এ ট্রান্সফার দিতে পারবেন ২০০০ ডলার হলে।
আজ এততুকুই। আশা করছি উপরের পদ্ধতিগুলো ব্যাবহার করে আপনার সাইটের ভিজিটর এর মাধ্যমে ভালই আয় করতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, বেশি আয়ের আশায় বেশি বিজ্ঞাপন দিয়ে সাইট নোংরা করবেন না। একটি সাইটে/পেইজে সর্বোচ্ছ তিনটি বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করা ভালো। তাই আয় বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞাপন না বাড়িয়ে ভিজিটর বাড়ান।
ধন্যবাদ সবাইকে।
ভাই বাংলা দেশের. কিছু এড মিডিয়ার. সাইটের নাম বোলবেন ইংরেজী তে
উত্তরমুছুনAmadersAd, Green-Red etc
মুছুনভাই আমার একটি বাংলা সাইট আছে। আমি সাইটে বিজ্ঞাপন দিতে চাইনা। শুধুমাত্র ভিজিটর বাড়িয়ে আয় করতে চাই।
উত্তরমুছুনআয় করার জন্য কি পরিমান পেজভিউ প্রয়োজন?????
আর আয় করার জন্য কি কি কাজ করতে হবে?????
উল্লেখ্য আমার সাইটে পোস্ট সংখ্যা ৫২। দৈনিক পেজ ভিউ ৭০/৭৫. এটি ওয়ার্ডপ্রেস.কম এ তৈরী।
উত্তরমুছুনখুব ভাল সাইড
উত্তরমুছুনRobiulkorim20.blogspot.com
যে কোন ধরনের ওয়েবসাইট থেকে খুব সহজেই Luxmi Ads এর বিজ্ঞাপন ব্যাবহার করে আপনি প্রতি মাসে অনেক টাকা উপার্জন করতে পারেন।সাপ্তাহিক পেমেন্ট সুবিধা। এখনি সুরুক করুন এখান থেকে www.luxmiads.com
উত্তরমুছুনhttp://www.easyhits4u.com/?ref=earningtips
উত্তরমুছুনউপরের সাইটে যান ফ্রীতে বা, কম খরচে ভিজিটর বাড়ান।
Did you know that you can create short links with OUO and make dollars from every click on your short urls.
উত্তরমুছুনভালো লাগলো ।আমার ব্লগে ঘূরে আসার আমন্ত্রন রইলো
উত্তরমুছুনwww.jagoron.blogspot.com
খুব ভালো এক্টি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ । অনলাইনে আয়ের মধ্যে এস ই ও করে আয়টা আমার খুব ভালো লাগে , এস ই ও গুরুত্তপুন্য টিপস পেতে এই সাইটটি দেখতে পারেন
উত্তরমুছুনওয়েব সাইট থেকে ইনকাম করার উপায়
উত্তরমুছুনthanks bro.My Site
উত্তরমুছুন
উত্তরমুছুনChampcash দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করুন __১০০% কার্যকরী টিপস
Champcash দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করুন __১০০% কার্যকরী টিপস
Champcash দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করুন __১০০% কার্যকরী টিপস
Champcash দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করুন __১০০% কার্যকরী টিপস
Champcash দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করুন __১০০% কার্যকরী টিপস
Champcash দিয়ে খুব সহজে অনলাইন থেকে আয় করুন __১০০% কার্যকরী টিপস
ভাল লেগেছে
উত্তরমুছুনcrimetimes24.com
উত্তরমুছুনDid you hear there is a 12 word phrase you can tell your crush... that will trigger intense emotions of love and instinctual attractiveness to you deep inside his heart?
উত্তরমুছুনThat's because hidden in these 12 words is a "secret signal" that triggers a man's instinct to love, idolize and guard you with all his heart...
12 Words Who Trigger A Man's Love Instinct
This instinct is so hardwired into a man's brain that it will drive him to try harder than before to love and admire you.
Matter-of-fact, triggering this all-powerful instinct is absolutely binding to getting the best possible relationship with your man that the moment you send your man one of the "Secret Signals"...
...You'll soon find him expose his mind and heart for you in a way he haven't experienced before and he'll perceive you as the one and only woman in the galaxy who has ever truly understood him.